ভূমিকা
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহীম
মানব জীবনের প্রতিটি কর্মকাণ্ডের দিক-নির্দেশনা এবং পারলৌকিক জীবনে নাজাতের পথ প্রদর্শনকারী খন্থ আল কুরআন। এর রচয়িতা, প্রেরণকারী মহান আল্লাহ এবং সংরক্ষণের দায়িত্বও তার। একই সাথে এর নির্ভুল ও বিশুদ্ধতার গ্যারান্টিও দিয়েছেন তিনি। দুনিয়ার জীবনকে শান্তিপূর্ণ করা এবং পরকালীন নাজাতের জন্য এ পবিত্র গ্রন্থকে বুঝা এবং সে অনুযায়ী আমলের বিকল্প নেই। সেই লক্ষ্য নিয়ে রাসূলুল্লাহ (সা.) থেকে শুরু হয়ে কিয়ামত পর্যন্ত চলবে কুরআন মাজিদের চর্চা, গবেষণা । আর এই গবেষণার পরিশীলিত রূপ হলো “তাফসীর’।
কুরআন মাজিদ আরবি ভাষায় হওয়াতে বাংলা ভাষাভাষীদের জন্য বাংলা ভাষায় কুরআন মাজিদের অনেক সরল অনুবাদ, তাফসীর ও অনূদিত তাফসীর প্রকাশিত হয়েছে। এসব অনুবাদ ও তাফসীরের মাধ্যমে কুরআন মাজিদের মৌলিক শিক্ষা জানা অনেকাংশে সহজ হয়েছে। তবে যারা মাদরাসা শিক্ষায় স্বল্প-শিক্ষিত কিংবা সাধারণ শিক্ষায় শিক্ষিত, তাদের জন্য আয়াতে ব্যবহৃত আরবি শব্দের সরাসরি অর্থ বুঝে কুরআন মাজিদের ভাবার্থ বুঝার মত অনুবাদ গ্রন্থের যথেষ্ট অভাব রয়েছে। এ অভাব পূরণের উদ্দেশ্যে মহান আল্লাহ তা’আলার অসীম রহমতের উপর ভরসা করে শব্দার্থ আল কুরআন’-এর লেখায় হাত দিয়েছি। সহায়তার জন্য বিভিন্ন তাফসীর ও অনুবাদ গ্রন্থের সাহায্য নিতে হয়েছে। এগুলোর মধ্যে তাফসীরে জালালাইন, ইবনে কাসীর, মা’রেফুল কুরআন, তাফসীর ফী যিলালিল কুরআন, বয়ানুল কুরআন, আহকামুল কুরআন, ই’জাযুল কুরআন, তাওষীহুল কুরআন, তাফহীমুল কুরআন, ইসলামী ফাউন্ডেশন কর্তৃক প্রকাশিত আল কুরআনুল কারিম এবং উর্দু শাব্দিক অনুবাদ বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য ।