ইতিহাস লেখার জটিলতা
এঁতিহাসিক ঘটনাবলি লেখার সময় নিরপেক্ষতা অবলম্বন করা এতিহাসিকদের কর্তব্য । পরিপূর্ণ সততা ও ইনসাফের সাথে প্রত্যেক ঘটনার প্রতিটা খুঁটিনাটি বিষয়ের বিবরণ তুলে ধরতে হয়। কিন্তু দুঃখের বিষয়, এমন নিরপেক্ষতা বাস্তবে খুব কমই দেখা যায়। এতিহাসিকগণ যখন ইতিহাস লিখতে বসেন, তখন সংঘটিত ঘটনাবলিকে নিজের ধ্যান- ধারণা, আকীদা-বিশ্বাস ও চিন্তাধারার আলোকেই দেখে থাকেন এবং সে অনুসারেই সিদ্ধান্ত নিয়ে থাকেন। এক পক্ষকে নিষ্পাপ এবং আরেক পক্ষকে দোষী সাব্যস্ত করে থাকেন । বইয়ের শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত এ মনোভাবই কার্যকর থাকে । এমনকি একথা বলাও অত্যুক্তি হবে না যে, অনেক এঁতিহাসিক ইতিহাস লেখার সিদ্ধান্তই দেন একটা আদর্শ বা চিন্তাধারাকে ঘটনাবলির আলোকে প্রমাণিত ও প্রতিষ্ঠিত করার উদ্দেশ্যে । কিন্তু সত্যনিষ্ঠ ও ইনসাফপ্রিয় ইতিহাসবিদদের কর্মপন্থা এমন হওয়া উচিত নয়। বড়জোর সংঘটিত ঘটনাবলিকে বিভিন্ন শ্রেণির মানুষ যে বিভিন্ন দৃষ্টিকোণ থেকে দেখে থাকে, তা উল্লেখ করতে পারেন এবং নিজের দৃষ্টিকোণ ও তাকে অগ্রাধিকার দেয়ার যুক্তি তুলে ধরতে পারেন । এতেও কিছুটা নিরপেক্ষতা বজায় থাকা সম্ভব ৷
নিরপেক্ষতা ও নিষ্ঠতা বজায় রাখার পক্ষে আরো একটা বাধা মাঝে মধ্যে দেখা যায় । সেটা হলো, লেখকের ন্যায় পাঠকরাও কোনো একটা বিশেষ ধ্যান-ধারণার অনুসারী হয়ে থাকেন।