ইসলামের মশাল হাতে আরব থেকে বেরিয়ে পড়েছিলেন স্বর্ণযুগের মুসলমানরা। কুফরের আঁধার চিরে ছড়িয়ে পড়েছিলেন পৃথিবীর বাঁকে-বাঁকে। রোমের কায়সার, ইরানের কেসরা! সেকালের দুই পরাশক্তি। তাদের পানে চোখ তুলে তাকায় এমন সাধ্য নেই কোনো রাজা-বাদশার। আরবের ‘বদ্দু’রা তো গণনার বাইরে। কিন্তু ‘আরবের বদ্দু’ মুষ্টিমেয় এই মুসলমানরা মাটির সঙ্গে মিশিয়ে দিলেন কেসরার দম্ভ। জয় করে নিলেন ইরানের মাটি ও মানুষের মন। মুসলমানদের হাতে পরাজিত হলো রোমের দাম্ভিক রাজা হেরাক্ল। জয় হলো ফিলিস্তিন ও শাম।
ইতিহাস বিস্ময়ে হতবাক! আট-দশ হাজার মুজাহিদ। একের পর এক দুর্গ-নগরী জয় করে চলল। পরাজিত হলো মহাপ্রতাপশালী সম্রাট হেরাক্লিয়াসের লক্ষাধিক সৈন্যের সুবিশাল বাহিনী। পরবর্তী যুদ্ধে তাঁরা নিজেদের প্রমাণ করেন আরও সাহসী, শক্তিশালী, দুর্দান্তরূপে। জয় হলো সমগ্র মিশর। ইসলামের আলো ছড়িয়ে পড়লো পৃথিবীর বিস্তীর্ণ অঞ্চলে। আলো আর আলো, যেন শেষ নেই এই আলোর। কী করে সম্ভব হলো তা? ইতিহাসে কী উত্তর লেখা আছে এ প্রশ্নের? উপন্যাসের আদলে সেই ইতিহাসেরই সবিস্তার বিবরণ অনিঃশেষ আলো।