ভারতীয় হানাদার বাহিনীর উপস্থিতি কাশ্মীরি জনসাধারণের জান মালের জন্য সর্বদা বিপদজনক। বস্তুত ভারতীয় হানাদার বাহিনীর উপস্থিতিই সকল সমস্যার কেন্দ্রবিন্দু। এছাড়া অন্য যত সমস্যা ও বিতর্ক রয়েছে তা আলোচনার মাধ্যমে সমাধান করা সম্ভব। তাই ভারতীয় সরকারকে একথার অনুভূতি অর্জন করতে হবে যে কাশ্মীরি জনসাধারণের সাথে ভারতীয় হানাদার সৈন্যদের সমন্বয় কোনোভাবে, কোনো পরিস্থিতিতেই সম্ভব নয়। এমনকি জোর জবরদস্তি করে, শক্তির জোরে শত বছর পর্যন্ত যদি ভারতীয় সৈন্যরা কাশ্মীরে অবস্থান করে তবুও কাশ্মীরি জনগণ তা মানসিকভাবে মেনে নিবে না। কাশ্মীরি জনসাধারণের দুর্বলতা অসহায়ত্ব ও দারিদ্রতা হেতু এসব বিষয়ে তাদের চুপ থাকায় যদি ভারত সরকার মনে করে যে কাশ্মীরের অবস্থা স্থিতিশীল ও জনগণ সবকিছু সন্তুষ্ট ভাবে মেনে নিয়েছে তাহলে বুঝে নিতে হবে ভারত সরকার আত্মপ্রবঞ্চনার শিকার হচ্ছে ও ভারতীয় নাগরিকদের কাশ্মীর সম্পর্কে অন্ধকারে রাখছে।
কাশ্মীরের নতুন প্রজন্ম কোনোভাবেই গান্ধীবাদ বা কারজাইবাদের দর্শনের অনুসারী হবে না। ভারত সরকারকে একথা বুঝিয়ে দিতে হবে যে, কাশ্মীরি জনসাধারণের সামনে নিজেদের জান-মাল বা সম্ভ্রম রক্ষার জন্য সামরিক প্রতিরোধ গড়ে তোলা ব্যতীত অন্য কোন বিকল্প নেই। শুধু এর মাধ্যমেই তারা তাদের সুন্দর ভবিষ্যতের স্বপ্ন দেখতে পারে। হয়তো ভারত সরকার এভেবে আত্মঅহমিকা বা প্রবঞ্চনার শিকার হচ্ছে, তারা ভেবে নিয়েছে যেসকল নামসর্বস্ব রাজনৈতিক নেতৃবৃৃন্দ বা স্বাতন্ত্রতার দাবীদারদের দল তারা তৈরী করেছে হয়তো তাদের মাধ্যমে কাশ্মীরের জনসাধারণ বা যুবকদের পুনরায় ধোকাগ্রস্থ করা সম্ভব হবে। অথচ নামসর্বস্ব কাপুরুষ এ ধরনের রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দকে কাশ্মিরী জনগণ বহু পূর্বেই ফিরিয়ে দিয়েছে।
-আফজাল গুরু
একটু পড়ে দেখুন
[embeddoc url=”https://www.islamiboi.net/wp-content/uploads/2019/09/Ayna-look-inside.pdf” download=”all”]