“জান্নাত সুখের ঠিকানা” বইয়ের সূচি:
অধ্যায়-০১ : জান্নাত এখনাে বিদ্যমান…..১৯
অধ্যায়-০২: আদম (আ.)-কোন জান্নাতে ছিলেন…..৪০
অধ্যায়-০৩ : আদম (আ.) চিরস্থায়ী জান্নাতে অবস্থানের প্রমাণ…..৪৫
অধ্যায়-০৪: আদম (আ.) পৃথিবীর নির্মিত উদ্যানে থাকার প্রমাণ…..৫৫
অধ্যায়-০৫ : জান্নাতুল খুলদ দাবীদারদের দলীলের জবাব…..৬৫
অধ্যায়-০৬ : ‘জান্নাতুল খুলদ’ নয় বলে দাবীদারদের দলীলের জবাব…..৭১
অধ্যায়-০৭: জান্নাতের বর্তমান অস্তিত্ব অস্বীকারকারীদের কিছু প্রমাণ…..৭৬
অধ্যায়-০৮ : জান্নাত অস্বীকারকারীদের পেশকৃত দলিলের জবাব…..৭৯
অধ্যায়-০৯ ; জানাতের দরজা কয়টি…..৮৪
অধ্যায়-১০ : জান্নাতের দরজার প্রশস্ততার বর্ণনা…..৯৩
অধ্যায়-১১ : জান্নাতের দরজাসমূহের বিবরণ…..৯৭
অধ্যায়-১২ : জান্নাতের দুই দরজার মধ্যবর্তী ব্যবধান…..১০০
অধ্যায়-১৩ : জান্নাত কোথায় অবস্থিত?…..১০১
অধ্যায়-১৪ : জান্নাতের চাবির বর্ণনা…..১০৫
অধ্যায়-১৫ : জান্নাতের সীলমােহর ও অনুমতিপত্র প্রসঙ্গে…..১০৮
অধ্যায়-১৬ : তাওহীদ জান্নাত লাভের একমাত্র পথ…..১১৪
অধ্যায়-১৭ : জান্নাতের স্তরসমূহ…..১১৯
অধ্যায়-১৮ : জান্নাতের সর্বোচ্চ স্তরের আলােচনা…..১২৫
অধ্যায়-১৯ : জান-মালের বিনিময়ে মুমিনের সওদা জান্নাত…..১২৯
অধ্যায়-২০ : জান্নাতীদের প্রার্থনা…..১৩৭
অধ্যায়-২১ : জান্নাতের বিভিন্ন নাম, অর্থ ও উৎপত্তি…..১৪৪
অধ্যায়-২২ : জান্নাতের সংখ্যা এবং নির্মাণশৈলী প্রসঙ্গে…..১৫৪
অধ্যায়-২৩ : সর্বাধিক শ্রেষ্ঠত্বপূর্ণ জান্নাত ও তার বৃক্ষরাজী…..১৫৯
অধ্যায়-২৪ : জান্নাতের প্রহরী, তত্ত্বাবধায়ক ও সর্দারের নাম…..১৬৩
অধ্যায়-২৫ : জান্নাতের দরজায় সর্বপ্রথম করাঘাতকারী…..১৬৫
অধ্যায়-২৬: সর্বপ্রথম জান্নাতে প্রবেশকারী উম্মত…..১৬৮
অধ্যায়-২৭: এ উম্মতের যাঁরা সর্বপ্রথম জান্নাতে প্রবেশ করবেন…..১৭০
অধ্যায়-২৮ : দরিদ্ররাই সর্বপ্রথম জান্নাতে যাবে…..১৭৪
অধ্যায়-২৯ : যাদের ব্যাপারে জান্নাতের নিশ্চয়তা দেয়া হয়েছে…..১৭৭
অধ্যায়-৩০: জান্নাতে উম্মতে মুহাম্মাদীর সংখ্যা হবে অধিক…..১৮৩
অধ্যায়-৩১: জান্নাত ও জাহান্নামে মহিলাদের সংখ্যা বেশি হবে…..১৮৫
অধ্যায়-৩২: বিনা হিসাবে যারা জান্নাতে প্রবেশ করবেন…..১৯০
অধ্যায়-৩৩ : আল্লাহ যাদেরকে জাহান্নাম থেকে…..১৯৪
অধ্যায়-৩৪ : জান্নাতের মাটি, পাথর ও দালান-কোঠার বিবরণ…..১৯৮
অধ্যায়-৩৫ : জান্নাতের ঔজ্জ্বল্য ও শুভ্রতার বর্ণনা…..২০২
অধ্যায়-৩৬ : জান্নাতের প্রাসাদ ও স্থান সমূহের বর্ণনা…..২০৪
অধ্যায়-৩৭: পূর্বে না দেখেও জান্নাতীরা তাদের বাসভবন চিনবে…..২১০
অধ্যায়-৩৮ : জান্নাতীদের অভ্যর্থনা ও তার ধরন…..২১২
অধ্যায়-৩৯ : জান্নাতীদের আকার-আকৃতি ও স্বভাব-চরিত্রের আলােচনা…..২১৭
অধ্যায়-৪০ : জান্নাতে উচ্চস্থান লাভকারীর বর্ণনা…..২২০
অধ্যায়-৪১ : জান্নাতীদের প্রথম উপহার…..২২৪
অধ্যায়-৪২ : জান্নাতের সুগন্ধি বিচ্ছুরিত হওয়ার আলােচনা…..২২৮
অধ্যায়-৪৩ জান্নাতের সুসংবাদ…..২৩১
অধ্যায়-৪৪ : জান্নাতের বাগ-বাগিচা ও ছায়া…..২৩৪
অধ্যায়-৪৫ : জান্নাতের ফলমূলের বৈশিষ্ট্য প্রসঙ্গে…..২৪১
অধ্যায়-৪৬ : জান্নাতে চাষাবাদ ও ফসলের আলােচনা…..২৪৮
অধ্যায়-৪৭: জান্নাতের নদী, প্রস্রবণ ও প্রবাহস্থল…..২৫০
অধ্যায়-৪৮ : জান্নাতীদের পানাহার ও পরিপাক পদ্ধতি…..২৬৩
অধ্যায়-৪৯ : জান্নাতীদের পানাহার পাত্রের বর্ণনা…..২৭৩
অধ্যায়-৫০: জান্নাতীদের ব্যবহারসামগ্রী…..২৭৮
অধ্যায়-৫১ : জান্নাতীদের আসবাবপত্র…..২৯৫
অধ্যায়-৫২ : জান্নাতীদের সেবায় যারা নিয়ােজিত থাকবে…..৩০০
অধ্যায় ৫৩ : জান্নাতীদের স্ত্রী ও তাঁদের প্রকারভেদ…..৩০৪
অধ্যায়-৫৪ : জান্নাতী হুরদের সৃষ্টির উপাদান…..৩২৬
অধ্যায়-৫৫: জান্নাতীদের বিবাহ ও সহবাস…..৩৩২
অধ্যায়-৫৬ : জান্নাতী নারীরা গর্ভবতী হবে কি?…..৩৩৭
অধ্যায়-৫৭: জান্নাতে সংগীত ও হুরদের গান…..৩৫১
অধ্যায়-৫৮ : জান্নাতীদের বাহন…..৩৫৯
অধ্যায়-৫৯: জান্নাতীদের পরস্পরের সাক্ষাৎ…..৩৬২
অধ্যায়-৬০ : জান্নাতের বাজার ও ভােগ্যপণ্যের বিবরণ…..৩৭০
অধ্যায়-৬১ : জান্নাতবাসীর আল্লাহ তাআলার দর্শনলাভ…..৩৭৫
অধ্যায়-৬২ : জান্নাতীদের ওপর বৃষ্টি বর্ষিত হবে…..৩৮০
অধ্যায়-৬৩ : জান্নাতীদের রাজত্ব ও এ বিষয়ের আলােচনা…..৩৮৩
অধ্যায়-৬৪ : জান্নাত মানুষের কল্পণার ঊর্ধ্বে…..৩৮৭
অধ্যায়-৬৫: জান্নাতীরা আল্লাহ তাআলাকে যেমন দেখবে…..৩৯৬
অধ্যায়-৬৬ : জান্নাতীদের সঙ্গে আল্লাহ তাআলার কথােপকথন…..৪৭২
অধ্যায়-৬৭: জ ওয়া প্রসঙ্গে…..৪৭৪
অধ্যায়-৬৮ : সর্বশেষ জান্নাতে প্রবেশকারীর আলােচনা…..৪৯১
অধ্যায়-৬৯ : জান্নাতীদের ভাষা…..৪৯৭
অধ্যায়-৭০ : জান্নাতের সুসংবাদ লাভের যােগ্য ব্যক্তিগণ…..৫১১
পরিশিষ্ট…..৫২৬
সবাই চাই, আমাদের স্বপ্নগুলো সত্য হোক। আমাদের প্রতিটি দুয়াগুলো কবুল হোক। তথাপি আকাঙ্ক্ষাগুলো যতই পূরণ করা হোক, একটা অভাব থেকেই যায় আমাদের মনে।
কেউ যদি দুনিয়ার সবচেয়ে সুন্দরী নারী পায়, আলি-সান বাড়ি বানায়, কোটি টাকা কামায়, সর্বোচ্চ সম্মান অর্জন করে—তবুও একটা অপূর্ণতা, কিছুটা অতৃপ্তি থাকবেই। এ কারণে যার একটা বাড়ি আছে, সে দুটো বাড়ির কথা চিন্তা করে; কারো এক কোটি টাকা থাকলে দুই কোটির কথা চিন্তা করে…এভাবে সমাজের প্রতিটি স্তরে মানুষদের মাঝে অভাববোধ দেখা যায়। কেউই শতভাগ পরিতৃপ্ত নয়।
.
কেন? কারণ, দুনিয়ার সীমাবদ্ধতা আছে, কিন্তু আমাদের চাহিদার নেই। দুনিয়া আমাদেরকে কখনই শতভাগ পরিতৃপ্ত করতে পারে না। যে গাছের স্থান মাটিতে, আপনি যদি তাকে বালুতে পুতে দেন, সে বেঁচে থাকতে পারবে না। তেমনি আমাদের অন্তরকে যদি তার আসল স্থানের বদলে নকল স্থানে জায়গা দেন, সে আপনাকে কখনোই পরিতৃপ্ত হতে দেবে না।
মূলত যে স্থানে পরিতৃপ্তি অনুভূত হয় অর্থাৎ অন্তর, সেই অন্তর এই দুনিয়ার জন্য নয়। এই অন্তরের সৃষ্টির সূচনা ঘটেছে ওপারে; আখিরাতের অনন্ত জীবনে। এই অন্তরের প্রথম আবাস হয়েছে জান্নাতের অনাবিল ভূমিতে। যেখানে শুরু আছে, কিন্তু শেষ নেই। যেখানে জীবন আছে, কিন্তু মরণ নেই। যেখানে প্রতিটি বিষয়ের বৈশিষ্ট্য ‘পূর্ণতা’। তাই সেখানে অতৃপ্তি কখনো অন্তরকে স্পর্শ করে না। সেই চিরস্থায়ী আবাসের জন্য এই অন্তরের সৃষ্টি।
.
যুহুদের মূল তত্ত্ব হচ্ছে দুনিয়াকে তুচ্ছ জানা এবং চিরস্থায়ী জান্নাতকে মনের কোঠায় স্থান দেয়া। বান্দা জান্নাতকে যত জানবে ততই তার ঈমান বাড়বে, হারামের প্রতি ভালোবাসা উবে যাবে, দুঃখ-কষ্টগুলো অতিক্রম সহজ হয়ে আসবে। এজন্য কুরআন হাদীসের বিশাল একটা অংশজুড়ে জান্নাতের বর্ণনা মেলে। যেন ব্যস্ততার এই জীবনে আমরা একটু স্বস্তির নিশ্বাস ফেলতে পারি, অতৃপ্তির এই লোনা সাগর পাড়ি দিতে পারি, বুক ভরা স্বপ্ন নিয়ে প্রতিদিন জাগতে পারি, কল্পনার জানালা দিয়ে জান্নাতের আকাশে একটু উঁকি দিতে পারি।
.
জান্নাতের সেসকল বর্ণনাগুলো একত্র করেছেন ইবনুল-কায়্যিম রহ. ‘মিফতাহু দারিস-সায়াদাহ’ গ্রন্থে। যার বাংলারূপ ‘জান্নাত সুখের ঠিকানা’সবাই চাই, আমাদের স্বপ্নগুলো সত্য হোক। আমাদের প্রতিটি দুয়াগুলো কবুল হোক। তথাপি আকাঙ্ক্ষাগুলো যতই পূরণ করা হোক, একটা অভাব থেকেই যায় আমাদের মনে।
কেউ যদি দুনিয়ার সবচেয়ে সুন্দরী নারী পায়, আলি-সান বাড়ি বানায়, কোটি টাকা কামায়, সর্বোচ্চ সম্মান অর্জন করে—তবুও একটা অপূর্ণতা, কিছুটা অতৃপ্তি থাকবেই। এ কারণে যার একটা বাড়ি আছে, সে দুটো বাড়ির কথা চিন্তা করে; কারো এক কোটি টাকা থাকলে দুই কোটির কথা চিন্তা করে…এভাবে সমাজের প্রতিটি স্তরে মানুষদের মাঝে অভাববোধ দেখা যায়। কেউই শতভাগ পরিতৃপ্ত নয়।
.
কেন? কারণ, দুনিয়ার সীমাবদ্ধতা আছে, কিন্তু আমাদের চাহিদার নেই। দুনিয়া আমাদেরকে কখনই শতভাগ পরিতৃপ্ত করতে পারে না। যে গাছের স্থান মাটিতে, আপনি যদি তাকে বালুতে পুতে দেন, সে বেঁচে থাকতে পারবে না। তেমনি আমাদের অন্তরকে যদি তার আসল স্থানের বদলে নকল স্থানে জায়গা দেন, সে আপনাকে কখনোই পরিতৃপ্ত হতে দেবে না।
মূলত যে স্থানে পরিতৃপ্তি অনুভূত হয় অর্থাৎ অন্তর, সেই অন্তর এই দুনিয়ার জন্য নয়। এই অন্তরের সৃষ্টির সূচনা ঘটেছে ওপারে; আখিরাতের অনন্ত জীবনে। এই অন্তরের প্রথম আবাস হয়েছে জান্নাতের অনাবিল ভূমিতে। যেখানে শুরু আছে, কিন্তু শেষ নেই। যেখানে জীবন আছে, কিন্তু মরণ নেই। যেখানে প্রতিটি বিষয়ের বৈশিষ্ট্য ‘পূর্ণতা’। তাই সেখানে অতৃপ্তি কখনো অন্তরকে স্পর্শ করে না। সেই চিরস্থায়ী আবাসের জন্য এই অন্তরের সৃষ্টি।
.
যুহুদের মূল তত্ত্ব হচ্ছে দুনিয়াকে তুচ্ছ জানা এবং চিরস্থায়ী জান্নাতকে মনের কোঠায় স্থান দেয়া। বান্দা জান্নাতকে যত জানবে ততই তার ঈমান বাড়বে, হারামের প্রতি ভালোবাসা উবে যাবে, দুঃখ-কষ্টগুলো অতিক্রম সহজ হয়ে আসবে। এজন্য কুরআন হাদীসের বিশাল একটা অংশজুড়ে জান্নাতের বর্ণনা মেলে। যেন ব্যস্ততার এই জীবনে আমরা একটু স্বস্তির নিশ্বাস ফেলতে পারি, অতৃপ্তির এই লোনা সাগর পাড়ি দিতে পারি, বুক ভরা স্বপ্ন নিয়ে প্রতিদিন জাগতে পারি, কল্পনার জানালা দিয়ে জান্নাতের আকাশে একটু উঁকি দিতে পারি।
.
জান্নাতের সেসকল বর্ণনাগুলো একত্র করেছেন ইবনুল-কায়্যিম রহ. ‘মিফতাহু দারিস-সায়াদাহ’ গ্রন্থে। যার বাংলারূপ ‘জান্নাত সুখের ঠিকানা’